যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকার পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় সবচেয়ে ভয়াবহ হামলায় একই পরিবারের ১১ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, নিহতদের গাড়িটি তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করেছিল, তাই ‘নিরাপত্তার কারণে’ লক্ষ্যবস্তু করা হয়। তবে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস এই হামলাগুলোকে যুদ্ধবিরতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা যুদ্ধবিরতির বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারীরা যদি নীরব থাকে, তাহলে এই পরিস্থিতি আরও রক্তপাতের দিকে ঠেলে দেবে।”
সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, সদিচ্ছার নিদর্শন হিসেবে রেড ক্রসের মাধ্যমে এক নিহত ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ ফেরত দিয়েছে তারা।
এদিকে গাজার মানবিক পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ত্রাণ সরবরাহ কার্যক্রম ইসরায়েলের আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে খাবার, পানি ও চিকিৎসা সংকটে ভুগছেন লাখো মানুষ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজার ৯৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৯ জন আহত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক হামলাগুলোর পর আন্তর্জাতিক মহলে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, এই সহিংসতা অব্যাহত থাকলে যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবারও পূর্ণাঙ্গ সংঘাত শুরু হতে পারে।








