মিরপুরের স্পিন স্বর্গে আজ নিজের ঘূর্ণির জাদুতে ইতিহাস গড়লেন রিশাদ হোসেন। ব্যাট হাতে ১৩ বলে ঝোড়ো ২৬ রান করার পর বল হাতে একাই বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্সে ছয় উইকেট শিকার করে একাই ধ্বংস করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তাঁর অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বাংলাদেশ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৭৪ রানের দাপুটে জয় পেয়েছে।
২০৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওপেনিং জুটিতে ব্র্যান্ডন কিং ও অ্যালিক অ্যাথানেজ যোগ করেন ৫১ রান। কিন্তু এরপরই শুরু হয় রিশাদের ঘূর্ণিঝড়। নিজের প্রথম ওভারেই অ্যাথানেজকে ফেরান তিনি। এরপর একে একে তুলে নেন কিং, কার্টি, রাদারফোর্ড, চেজ ও শেষ ব্যাটার সিলসকে। মাত্র ৯ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট—ওয়ানডে ইতিহাসে কোনো বাংলাদেশি লেগ স্পিনারের সেরা বোলিং ফিগার এখন রিশাদের দখলে।
রিশাদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৩৯ ওভারে ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের প্রথম দিকে লড়াই করলেও একপ্রান্তে রিশাদের স্পিনে বিপর্যস্ত হয় বাকিরা। ৫১ রানে ওপেনিং জুটি গড়ার পর দলটি হারায় শেষ ১০ উইকেট মাত্র ৮২ রানে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না বাংলাদেশের। ইনিংসের শুরুতেই ৮ রানের মধ্যে আউট হন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। তবে এরপর তাওহীদ হৃদয় (৫১) ও অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৪৬) দলের হাল ধরেন। তাঁদের জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। শেষদিকে রিশাদের ১৩ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসই দলকে ২০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে ২০৭ রানে পৌঁছে দেয়।
বল হাতে রিশাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সহায়তা করেন মোস্তাফিজুর রহমান (২/১৬), তানভীর ইসলাম (১/৪৬) ও অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ (১ উইকেট)।
রিশাদের এই অনন্য নৈপুণ্যে মিরপুরে যেন একক প্রদর্শনীতে পরিণত হয় পুরো ম্যাচ।









