ফরিদপুর সদর উপজেলায় পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন এক স্বামী। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাটি লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম লিপি বেগম (৪৫)। অভিযুক্ত স্বামী শফিকুল ইসলাম কালা (৬০) ঘটনার পরপরই পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় লিপি বেগমকে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা ফরিদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত লিপি বেগম ও শফিকুল ইসলামের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
পরিবারের সদস্য পনির ইসলাম (২৮) জানান, বাবা-মায়ের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। বুধবার রাতেও তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়, পরে বাবা রাগ করে বাসা ছেড়ে যান।
তিনি আরও বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে বাবা বাসায় ফিরে এসে বলেন, জামাকাপড় নিতে এসেছি, ঢাকা চলে যাব। এরপর রুমে ঢুকে মাকে ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে নিজের কাপড় নিয়ে পালিয়ে যান।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নাতনি স্মৃতি আক্তার বলেন, “দাদা দাদিকে শীতের কাপড় দিতে বলেন। এরপর জিজ্ঞাসা করেন, তুমি বাবলুর সঙ্গে কী করছো? তারপর ঝগড়া শুরু হয়। দাদিকে কোরআন শরীফ ছুঁয়ে নির্দোষ প্রমাণ দিতে বলেন। দাদি রাজি হতেই দাদা কোমর থেকে ছুরি বের করে গলায় বসিয়ে দেন।”
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, “ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে, পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়া চলমান।”









