ভারতের উত্তর প্রদেশে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এ নির্দেশের পর রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সমন্বিত কাঠামো গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গের এসআইআর অভিযান শুরু হওয়ার পর বহু অনুপ্রবেশকারী অন্য রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ায় তাদের শনাক্তে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সরকার বলেছে, এটি কোনো আবেগঘন বা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নয়; বরং জাতীয় নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পরিকল্পিত উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো আপস করা হবে না এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ বরদাশত করা হবে না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলমান যাচাই অভিযানে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের একটি সুসংগঠিত নেটওয়ার্কের অস্তিত্ব উদ্ঘাটিত হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশ এটিএসের অভিযানে বহু রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় এই নেটওয়ার্কের গভীরতা স্পষ্ট হচ্ছে।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, প্রতিটি বিভাগে ডিটেনশন সেন্টার স্থাপন করা হবে—যেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আটক ব্যক্তিদের রাখা হবে। নির্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নে এফআরআরওর সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। পাশাপাশি জেলাশাসকদের প্রতিদিনের অগ্রগতি হোম ডিপার্টমেন্টে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগে এসব নজরদারি, গ্রেপ্তার অভিযান ও নির্বাসন কার্যক্রম বিভিন্ন দপ্তরে বিচ্ছিন্নভাবে পরিচালিত হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি বলে মন্তব্য করেছে সরকার। নতুন সমন্বিত ব্যবস্থার ফলে অভিযান আরও সুসংগঠিত ও কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।









