দীর্ঘ দুই যুগের সংগীত ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। তিনি জানিয়েছেন, আর কোনো কনসার্টে তাকে দেখা যাবে না।
রোববার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এক কনসার্ট চলাকালীন গান গাইতে গাইতে তাহসান ঘোষণা দেন, “অনেক জায়গায় লেখা হচ্ছে এটা আমার শেষ কনসার্ট। আসলে শেষ কনসার্ট না, শেষ ট্যুর। ধীরে ধীরে সংগীতজীবনের ইতি টানব। এটা স্বাভাবিক। মেয়ে বড় হয়ে যাচ্ছে, এখন যদি মঞ্চে দাঁড়িয়ে গাই—‘দূরে তুমি দাঁড়িয়ে’—তখন কেমন দেখায়?”
তার এই ঘোষণায় দর্শকেরা হতবাক হয়ে পড়েন। পুরো হলজুড়ে একসঙ্গে শোনা যায় ‘না-না’ ধ্বনি, অনেকে আবেগে কেঁদে ফেলেন। তবে তাহসান নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন এবং গান চালিয়ে যান।
সোমবার দুপুরে এক গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “একটা সাধারণ জীবনের আশায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
২৫ বছরের সংগীতজীবন পূর্ণ করেছেন তাহসান। রজতজয়ন্তী উপলক্ষে বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়া ট্যুরে আছেন। ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড ও সিডনিতে হাজারো দর্শককে মুগ্ধ করার পর মেলবোর্নে তার এই ঘোষণায় ভক্তরা হতাশ হয়েছেন। সামনে পার্থে তার শেষ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
তাহসান সবসময়ই সংগীতকে আবেগের জায়গা হিসেবে দেখেছেন। তবে বয়স, সময় ও জীবনের অগ্রাধিকার তাকে নতুনভাবে ভাবিয়েছে। মেয়ের বেড়ে ওঠা তার জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছে। তার ভাষায়, “মঞ্চে লাফিয়ে গান গাওয়া এখন আর আগের মতো স্বাভাবিক মনে হয় না। একজন শিল্পীর পাশাপাশি একজন বাবা হিসেবেও দায়িত্ব বেড়েছে।”
বাংলাদেশি ব্যান্ড মিউজিকের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ব্যান্ড ‘ব্ল্যাক’-এর সদস্য হিসেবেই সংগীতে যাত্রা শুরু করেন তাহসান। ২০০২ সালে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম আমার পৃথিবী প্রকাশের পর থেকেই তিনি তরুণদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
তাহসানের বিদায়ের ঘোষণায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের প্রতিক্রিয়া তুমুল। অনেকেই লিখেছেন, “আমরা প্রস্তুত নই তাকে বিদায় জানানোর জন্য।” কেউ কেউ আবার আশা করছেন, তিনি কিছুদিনের বিরতি নিয়ে আবার ফিরবেন।









