নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নাজিম উদ্দিন (১৩) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বাটরা মাখযানুল উলুম কওমি মাদ্রাসায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নাজিম উদ্দিন মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি একই উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামে।
মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, রোববার এশার নামাজ শেষে শিক্ষার্থীরা যে যার কক্ষে ফিরে যায়। তবে ভোরে নামাজের সময় সহপাঠীরা একটি কক্ষে রক্তাক্ত অবস্থায় নাজিমের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানান, প্রাথমিকভাবে এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা, সহপাঠীদের সঙ্গে বিরোধ কিংবা অভ্যন্তরীণ কোনো দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (১৭)–কে আটক করা হয়েছে। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাসুম মুর্তজা বলেন, “আমি কয়েকদিন ধরে ছুটিতে আছি। আমাদের মাদ্রাসার ইতিহাসে এমন নৃশংস ঘটনা কখনো ঘটেনি। আমরা সবাই স্তব্ধ ও শোকাহত। এমন কিছু ঘটবে, তা কল্পনারও বাইরে।”
ওসি মোরশেদ আলম আরও জানান, “ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কে বা কারা জড়িত—তা উদ্ঘাটনে পুলিশ ইতিমধ্যে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে।”
স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে। এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে, এবং নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করেছেন তারা।









