ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার ও অপতথ্য মোকাবিলায় সমন্বিত সেল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সেল নির্বাচনকালীন সময়ে ভুয়া তথ্য, বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা ও প্রযুক্তিনির্ভর অপপ্রচার ঠেকাতে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) আয়োজিত “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও নির্বাচনী তথ্য ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
সিইসি বলেন, “বিশ্বজুড়ে নির্বাচনে এআই অপব্যবহার একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে ভোটের রাতেই সবচেয়ে বেশি অপতথ্য বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। তাই নির্বাচনকালীন সময়ে দিন-রাত নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করার মতো সক্ষম একটি কেন্দ্রীয় সেল গঠন করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন মোকাবিলায় কার্যকর সেল গঠনের আগে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া জরুরি। কীভাবে তথ্য যাচাই করা হবে, কারা এই কাজে যুক্ত থাকবেন এবং কত দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব—এসব বিষয় নির্ধারণ করা হবে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে।”
ফ্যাক্ট চেকিংয়ের প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “ভুল তথ্য শনাক্ত ও যাচাইয়ের প্রক্রিয়াটি দ্রুত ও নির্ভুল হতে হবে। এজন্য ফ্যাক্ট চেকিং টিমের জনবল, প্রযুক্তি ও অংশীদার সংস্থাগুলোর মধ্যে স্পষ্ট সমন্বয় থাকতে হবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “পাহাড়ি ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মতো জায়গা থেকে ভুল তথ্য ছড়ানোর ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই কেন্দ্রীয় সেলের সঙ্গে সেসব এলাকার স্থানীয় সংযোগ নিশ্চিত করা জরুরি। প্রতি শিফটে কতজন কর্মকর্তা থাকবেন, তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কেমন হবে—এসব বিষয়েও বিস্তারিত সুপারিশ দিতে হবে।”
সিইসি বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকায় যারা আমাদের হয়ে মাঠপর্যায়ে কাজ করবেন, তাদের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনের ব্যবস্থা থাকতে হবে, যাতে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, “এই কর্মশালার মাধ্যমে আমরা কার্যকর দিকনির্দেশনা পাব এবং তা নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা আরও আধুনিক, স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে সহায়তা করবে।”
আইডিইএ-২ প্রকল্পের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তিবিদ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।








