ফরিদপুরের এক আওয়ামী লীগের নেতার দিকে ইঙ্গিত করে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মুজিবর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী বলেছেন, ‘অনেক বড় নেতা, অনেক বড় আত্মীয়, অনেক বড় দানবের পতন হয়েছে। এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
ফরিদপুর যুবলীগের ২১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা নিক্সন চৌধুরীকে ফুলের শুভেচ্ছা জানাতে গেলে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি। গত বুধবার রাতে নিক্সন চৌধুরীর ভাঙ্গার বাসায় দেখা করতে যান নেতারা।
গত ৫ মে রাতে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ২১ সদস্যবিশিষ্ট এ আহ্বায়ক কমিটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘আগামীর যুবলীগ হবে মানবিক যুবলীগ, কোনো বড় নেতার তদবির এখানে চলবে না। কোনো নেতার চামচামি করে যুবলীগের নেতা হওয়া যাবে না।
নিক্সন চৌধুরী বলেন, ১৯৭২ সালে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ ফজলুল হক মনি। বর্তমানে যুবলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ। যুবলীগের প্রতি দরদ, আবেগ আর ভালোবাসা পরশের চাইতে আর কারও বেশি হওয়ার কথা নয়।
সাংসদ বলেন, ‘যুবলীগের আগের নেতারা দুর্নীতি ও ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে কমিটি ভেঙে দিয়ে পরশকে নতুন কমিটির দায়িত্ব দিয়েছেন। এ কমিটি দেড় বছর পার করেছে। করোনার এই সংকটজনক সময়ে সারা দেশে যুবলীগের কোনো কমিটি না হলেও গত ৫ মে যুবলীগের ফরিদপুর আহ্বায়ক কমিটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
সাংসদ নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘দলের দুর্দিনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের, তাদের সন্তান, আত্মীয়স্বজন ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের নিয়ে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে। এ কাজে কোনো বড় নেতা, সাংসদ, মন্ত্রীর সুপারিশ রাখবেন না। মনে রাখবেন চামচামি করে নেতা হওয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘কারও কোনো সুপারিশ আপনারা শুনবেন না। আমার তিন উপজেলায় আমার রাজনীতির বাইরে, আমার অপছন্দের কাউকে যুবলীগে স্থান দিলে আমি তাতে বাধা দেব না।’