যশোর সদর উপজেলায় ইজিবাইক চুরি নিয়ে বিরোধ ও এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে চঞ্চল মাহমুদ (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় নিহতের পরিবারের সদস্যসহ মোট ছয়জন আহত হয়েছেন। নিহত চঞ্চল মাহমুদ ওই গ্রামের মধু গাজীর ছেলে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন চঞ্চলের বাবা মধু গাজী, মা হাসিনা বেগম, ছোট ভাই তুহিন এবং প্রতিপক্ষের রবিউল ইসলাম (৩৮), তার ভাই বিল্লাল হোসেন (৪০) ও ছেলে মুন্না (১৮)।
ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে রবিউল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন ও মুন্নাকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি চঞ্চল মাহমুদের একটি ইজিবাইক চুরি হয়। চঞ্চল ও স্থানীয়রা এ ঘটনার জন্য রবিউল ইসলামকে সন্দেহ করে চুরি যাওয়া ইজিবাইকটি ফেরত দিতে বলেন। এতে রবিউল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
এ ছাড়া রবিউল ও বিল্লালের নেতৃত্বে এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা চলায় চঞ্চল ও তার পরিবার প্রতিবাদ করায় তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে রবিউলের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী চঞ্চলের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
চঞ্চল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান তার বাবা-মা ও ভাই। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রবিউল, বিল্লাল ও মুন্নাও আহত হন।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক চঞ্চল মাহমুদকে মৃত ঘোষণা করেন। চঞ্চলের বাবা মধু গাজীর অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
নিহতের বাবা মধু গাজী বলেন, “রবিউল ও বিল্লালের নেতৃত্বে এলাকায় প্রকাশ্যে ইয়াবা ব্যবসা চলে। আমার ছেলে সেই ব্যবসার বিরুদ্ধে কথা বলায় তারা ক্ষুব্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ডাক্তার ইসরাইল হোসেনের বাড়ির সামনে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও ছুরিকাঘাত করে।”
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, “পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হন, যার মধ্যে চঞ্চল নামে এক যুবক মারা গেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছেন। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”









