দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বিস্ফোরণ ও দুর্ঘটনার খবর প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামান্য অসতর্কতা কিংবা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবই এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।
তাদের মতে, এসি শুধুমাত্র আরাম দেওয়ার যন্ত্র নয়—সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে এটি প্রাণঘাতী ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
কী কারণে ঘটে এসি বিস্ফোরণ?
বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এসি বিস্ফোরণের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে।
কনডেনসারে ময়লা জমা হলে কমপ্রেসরে অস্বাভাবিক চাপ ও তাপমাত্রা তৈরি হয়, যা বিস্ফোরণ ডেকে আনতে পারে।
পাইপলাইনে ব্লকেজ হলে গ্যাস প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় এবং চাপ বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত রেফ্রিজারেন্ট চার্জ কমপ্রেসরের ভেতরে বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ায়।
ভ্যাকুয়াম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন না হলে চাপের মাত্রা বেড়ে যায়।
পাশাপাশি, ভুল সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করলেও শর্ট সার্কিট বা অতিরিক্ত ভোল্টেজ থেকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রতিরোধে কী করা দরকার?
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সাধারণ সচেতনতা মেনে চললে এসব দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
এসির জন্য নির্ধারিত মানের কেবল ও সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা জরুরি।
প্রতি কয়েক মাস অন্তর কনডেনসার পরিষ্কার রাখতে হবে।
কমপ্রেসরের চাপ ও তাপমাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।
বছরে অন্তত দুই থেকে তিনবার অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে সার্ভিসিং করাতে হবে।
ইনস্টলেশনের সময় ভ্যাকুয়াম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, মানসম্মত ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের এসি ব্যবহার করা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও সচেতন ব্যবহারের মাধ্যমেই দুর্ঘটনার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব। মানুষের প্রাণ ও সম্পদের সুরক্ষায় এসব সতর্কতা মেনে চলা সময়ের দাবি









