দুবাইয়ের আকাশে আলো ঝলমলে পরিবেশে এশিয়া কাপের সুপার ফোর ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪১ রানে হারিয়েছে ভারত। ম্যাচজুড়ে একপাশে ছিল কুলদীপ যাদব ও অভিষেক শর্মাদের দাপট, অন্যপাশে ছিলেন একাই লড়াই চালিয়ে যাওয়া সাইফ হাসান। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতের স্পিন আক্রমণের কাছে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ।
টস জিতে বোলিং নেওয়া শুরুতে কাগজে-কলমে সঠিক মনে হলেও, বাস্তবে তা হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের জন্য চাপের কারণ। ভারতের হয়ে অভিষেক শর্মা ঝড় তুলেন শুরু থেকেই। মাত্র ৩৭ বলে ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি, যেখানে ছিল ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা। তাকে সঙ্গ দেন শুভমান গিল (২৯) ও হার্দিক পান্ডিয়া (৩৮)। যদিও মাঝপথে বাংলাদেশি বোলাররা কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও শেষ পর্যন্ত ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ১৬৮ রান।
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে রিশাদ হোসেন সবচেয়ে কার্যকর ছিলেন (৩ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট)। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান শাকিব ও সাইফউদ্দিন প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন। তবে বড় রান আটকানোর মতো ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি কারও বোলিংয়ে।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান (১) ফিরেন বুমরাহর দুর্দান্ত ইনসুইং ডেলিভারিতে। কিছুটা লড়াই করেন পারভেজ ইমন (২১), কিন্তু উইকেট পতন থামাতে পারেননি। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে যান সাইফ হাসান। তার ব্যাট থেকে আসে ৫১ বলে ৬৯ রানের ইনিংস, যেখানে ছিল ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা। তবে অন্য প্রান্তে কেউ তাকে সঙ্গ দিতে না পারায় দলকে জেতাতে পারেননি তিনি।
হৃদয় (৭), শামীম (০), জাকের আলী (৪) ও সাইফউদ্দিন (৪) দ্রুত ফিরে যান। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১৯.৩ ওভারে অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১২৭ রানে।
ভারতের হয়ে কুলদীপ যাদব ছিলেন সেরা বোলার, মাত্র ১৮ রানে নেন ৩ উইকেট। বুমরাহ (২/১৮) ও বরুণ চক্রবর্তী (২/২৯) ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখেন। তরুণ তিলক ভর্মাও নেন শেষ ওভারের একটি উইকেট।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচের চিত্রটা ছিল স্পষ্ট—ভারতের স্পিন আক্রমণের জালে আটকে পড়ে বাংলাদেশ। সাইফ হাসানের লড়াকু ইনিংস সঙ্গীর অভাবে দলকে জেতাতে ব্যর্থ হয়। এই জয়ে ফাইনালের পথে ভারতের অবস্থান আরও শক্তিশালী হলো, অন্যদিকে বাংলাদেশের সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে গেল।









