কনটেন্ট বানিয়ে যারা মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ। এবার ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নতুন নিয়ম আনলো। কঠোর হতে যাচ্ছে ইউটিউব, ফলে ইউটিউব থেকে আয় করা কঠিন হয়ে পড়বে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য।
বিশেষ করে যারা ইউটিউবের মাধ্যমে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির জগতে প্রবেশের কথা ভাবছেন এমন ব্যক্তিদের ইউটিউবের নতুন নগদীকরণ নিয়মের কারণে কিছু নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হতে পারে। আগামী ১৫ জুলাই থেকে ইউটিউব তাদের মনিটাইজেশনে বেশ কিছু বদল আনতে চলেছে।
নতুন কী কী পরিবর্তন আনছে ইউটিউব চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. প্রতিক্রিয়া বা সংকলন চ্যানেল
যারা রিয়াকশন বা প্রতিক্রিয়া বা সংকলন চ্যানেল চালান। অর্থাৎ যারা অন্যদের ভিডিও নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেয় বা সংকলন তৈরি করে, তাদের নিজের কন্টেন্টে অর্থপূর্ণ মূল্য বা মিনিংফুল ভ্যালু যোগ করতে হবে। এখানে অর্থপূর্ণ মূল্য বলতে বোঝায়- ভিডিওতে ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, শিক্ষা বা বিনোদনমূলক নিজস্ব বক্তব্য থাকতে হবে। শুধু অন্যের ভিডিও কেটে জুড়ে দিলে তা ম্নিটাইজেশনের জন্য যথেষ্ট নয়।
২. টিউটোরিয়াল এবং ভ্লগ নির্মাতারা
তাদের ভিডিওতে পুরোনো বা অন্যদের ক্লিপ ব্যবহার করতে পারছেন না আর। টেক্সট টু স্পিচ ন্যারেশন (যেমন: এআই কণ্ঠস্বর) ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কারণ এতে ভিডিওর স্বকীয়তা কমে যায়।
৩. এআই জেনারেটেড ভিডিও
যারা শুধুই এআই দিয়ে বানানো ভিডিও প্রকাশ করে, তাদের নগদীকরণের সুযোগ হারানোর ঝুঁকি আছে। কারণ এতে মনে হতে পারে ভিডিওটি যথেষ্ট মৌলিক বা মানুষের দ্বারা তৈরি না।
এছাড়া চ্যানেলে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। গত ১২ মাসে ৪,০০০ ঘণ্টা বৈধ পাবলিক ওয়াচ টাইম অথবা,
গত ৯০ দিনে ১ কোটি শর্টস ভিউ থাকতে হবে মনিটাইজেশন পেতে হলে।
মূলত ইউটিউবের এই নিয়মের উদ্দেশ্য হচ্ছে এখন থেকে ইউটিউব এমন নির্মাতাদের প্রাধান্য দেবে যারা আসল মানুষ (ফেসলেস এআই চ্যানেল নয়), বিশ্বাসযোগ্য ও আবেগপ্রবণ কনটেন্ট তৈরি করে এবং নিজের চিন্তা ও মেধা দিয়ে ভিডিও বানায়। তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা।