বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে বড় ধরনের বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, একটি গোষ্ঠী ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে দেশের মধ্যে বিভাজন তৈরির প্রয়াস চালাচ্ছে।
রোববার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু হলেও রাষ্ট্র ও সমাজকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত করার ধারণা বিএনপি সমর্থন করে না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার—সেটিই বাংলাদেশের ভিত্তি।
তিনি বলেন, “সব অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে বিএনপিকেই।”
তারেক রহমানের ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে তিনি উল্লেখ করেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনে দেড় বছরে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের যে পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে, তা বিএনপির উন্নয়নমুখী ও অগ্রসর রাজনৈতিক কাঠামোরই প্রতিফলন। তার ভাষায়, “বিএনপিকে নেতিবাচক রাজনৈতিক দল হিসেবে উপস্থাপনের যে প্রবণতা দেখা গেছে, তা ভেঙে দিতে হবে। বিএনপি সবসময়ই পরিবর্তনের পথ উন্মুক্ত রেখেছে।”
ছাত্রদলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলের ৩১ দফা কর্মসূচি গ্রামে-গঞ্জে যথাযথভাবে পৌঁছায়নি। গ্রামে গেলে তার প্রতিফলন পাওয়া যায় না। তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের উপস্থিতি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন এবং বলেন, ছাত্র সংগঠনের দুর্বল সক্রিয়তার কারণেই সাম্প্রতিক নির্বাচনে দল ভালো করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, “যে ক্ষেত্রগুলোতে ঘাটতি রয়ে গেছে, সেখানে ছাত্রদলকে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।”









