বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থার অবনতি ও নিরাপত্তা বিবেচনায় হাসপাতাল এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাত ২টার পর থেকেই হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড বসায়। জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও সাধারণ মানুষের ভিড় সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রিত রাখা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, অন্যান্য রোগী ও তাদের স্বজনদের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করা এবং হাসপাতালে অযাচিত ভিড় ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করতেও এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিআইপি)’ হিসেবে ঘোষণা করে।
৮০ বছর বয়সী এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ কিডনি, ফুসফুস, হৃদপিণ্ড ও চোখের নানা জটিলতায় ভুগছেন। ২৩ নভেম্বর হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে জরুরি ভিত্তিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার চিকিৎসায় নিয়োজিত আছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, “সিসিইউ থেকে আইসিইউ, আইসিইউ থেকে ভেন্টিলেশন—ম্যাডামের অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। এর বাইরে বলার মতো কিছু নেই। শুধু তার সুস্থতার জন্য জাতির কাছে দোয়া চাই।”









