বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতা–কর্মীরা রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে জড়ো হচ্ছেন। নেত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও শঙ্কা থেকেই তাঁদের এই সমাগম।
রোববার সকাল থেকে দিনভর হাসপাতালের সামনে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে এসে অবস্থান নেন সেখানে।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা কৃষক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রউফ চৌধুরী বলেন, ‘ম্যাডাম অসুস্থ শুনে দেখতে এসেছি। এখন এসে দেখে মনে একটু স্বস্তি পাচ্ছি।’
সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান হাসিব বলেন, ‘ভালোবাসা থেকেই এসেছি। নেত্রী অসুস্থ, তাঁর খোঁজ নিতে ইচ্ছে হয়েছে।’
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। গত রোববার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাঁর চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করছে। গত শুক্রবার রাতে তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন ছিল বলেও জানায় বিএনপি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের তুলনায় শনিবার তাঁর শারীরিক অবস্থায় সামান্য উন্নতি দেখা গেলেও সংকট পুরোপুরি কাটেনি। কিডনি কার্যকারিতা মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় টানা চার দিন তাঁকে ডায়ালাইসিস করতে হয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো ‘গুরুতর’। তাঁদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আগামী কয়েকটি দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি কার্যক্ষমতায় স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত সামগ্রিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি সম্ভব নয়।
এদিকে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবরে হাসপাতালের সামনে বিভিন্ন ব্যানারে গণমোনাজাতের আয়োজন করেন নেতা–কর্মীরা। এতে এলাকায় যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।
এই পরিস্থিতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতা–কর্মীদের সেখানে অযথা ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।









