বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। তিনি বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন। মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞরা তাঁর চিকিৎসা পরিচালনা করছেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতারা হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সমন্বয়ে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের দ্রুত আরোগ্য কামনায় শুক্রবার বাদ জুমা ঢাকাসহ দেশব্যাপী দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, “ম্যাডামকে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সবার কাছে তাঁর জন্য দোয়া চাইছি।”
বাদ জুমা নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা এখন অত্যন্ত সঙ্কটময়। সারা দেশে জুমার নামাজের পর তাঁর সুস্থতার জন্য দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছি। আমরা আল্লাহর কাছে তাঁর সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি।”
তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করা নেত্রীর প্রতি আমাদের দায়িত্ব—সবাই তাঁর সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।” এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবেও তিনি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সারা দেশের মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেলে মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও চেয়ারপারসনের আরোগ্য কামনায় গণদোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। একই দিনে সিরাজদিখানের মধুপুর মাদরাসায়ও বিশেষ দোয়া আয়োজন করা হয়।
গত ২৩ নভেম্বর রাতেই মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা চলছে।









