বরিশালে ছাত্র–শ্রমিক সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত বাস ভাঙচুরের ঘটনায় সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন বাস মালিক ও শ্রমিকরা। রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে মালিক–শ্রমিকরা টার্মিনালে অবস্থান নিলেও কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এতে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটের যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
হঠাৎ বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা বিকল্প পরিবহন হিসেবে মাহিন্দ্রা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করছেন, তবে স্বাভাবিক ভাড়ার দ্বিগুণ বা তারও বেশি গুনতে হচ্ছে।
শ্রমিকরা জানান, সংঘর্ষে বহু বাস ভাঙচুর হওয়ায় যানবাহনগুলো চলাচল উপযোগী নেই। এছাড়া অনেক শ্রমিক আহত হয়েছেন। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং আইনি ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন তারা।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মোশারেফ হোসেন বলেন, “বিনা উসকানিতে শ্রমিকদের ওপর শিক্ষার্থীরা হামলা করেছে। অসংখ্য বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কাউন্টারগুলোকেও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে মালিকপক্ষের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, যথাযথ বিচার ও সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল পুনরায় শুরু করা সম্ভব নয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালিক–শ্রমিকরা প্রতিবাদস্বরূপ বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং সংকট সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আলোচনা করছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হাফ ভাড়া নিয়ে বিরোধের জেরে বরিশাল সরকারি বিএম কলেজ, হাতেম আলী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় বাস শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে নুর পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ এবং প্রায় অর্ধশত বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন।









