তারেক রহমান

চূড়ান্ত গণতন্ত্রচর্চার জন্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে

ষ্টাফ রিপোর্টার

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের মুক্তির নতুন দিগন্তে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “এখন আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হতে হবে প্রকৃত গণতন্ত্রচর্চা—যেখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা হবে।”

৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে তিনি দেশবাসীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তারেক রহমান বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লব ছিল এক মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা। এটি শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, আধিপত্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অভ্যুদয়ের সূচনা ঘটিয়েছিল।”

তিনি বলেন, “সেই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায়। দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত সিপাহী ও জনতা রাজপথে নেমেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব আজও আমাদের জাতীয় জীবনে গভীর তাৎপর্য বহন করে।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “স্বাধীনতার পর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে দেশকে আধিপত্যবাদের থাবায় ঠেলে দিয়েছিল। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছিল একদলীয় বাকশাল সরকার, যা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সেই সময়ের ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা মানুষের মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নেয়।”

তিনি আরও বলেন, “দেশমাতৃকার সংকটময় সময়ে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বন্দি করা হয়। কিন্তু ৭ নভেম্বর সিপাহী ও জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে তিনি মুক্ত হন, এবং তার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র পুনর্জাগরিত হয়, বাক-স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।”

তারেক রহমান বলেন, “পরবর্তীকালে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার প্রায় ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় দুঃশাসন কায়েম করে রেখেছিল। তারা গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, দুর্নীতি ও দমননীতির মাধ্যমে দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল। গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বছরের পর বছর অন্যায়ভাবে বন্দি রাখা হয়েছিল।”

তিনি উল্লেখ করেন, “সমাজে ন্যায়বিচার, সুশাসন ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা না হলে গণতন্ত্র টেকসই হবে না। আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা দেশীয় কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত হেনেছিল—এখন সময় এসেছে ৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার।”

তারেক রহমান আহ্বান জানান, “সব জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *