বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে চক্রান্ত চলছে, গণতন্ত্রকে পুনরায় ধ্বংসের চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়—যে পথে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জিয়া উদ্যানে বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত চলে এই কর্মসূচি।
পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে দোয়া ও মোনাজাতে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকের দিনটি শুধু বিএনপির নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের শেখায়—জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশ ও বিএনপি অবিচলভাবে এগিয়ে যাবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে, জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমিরের ফোনালাপ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, “গতকাল আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। সেটিই আমাদের অবস্থান।”
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন; চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান; সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী; যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ও আব্দুস সালাম আজাদ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।









