আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা এবং গোপনীয়তা বজায় রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব আখতার হোসেন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। বৈঠকে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসি সচিব বলেন, “নির্বাচনী প্রচারণা বা ভোটের সময় কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দল ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে না। শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে।”
তিনি আরও বলেন, “সবাই অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আপাতত কোনো উদ্বেগ নেই। সেনাবাহিনী আগের মতোই ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।”
আখতার হোসেন জানান, নির্বাচনে প্রায় ৬ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্য থাকবেন এক লাখ, পুলিশ সদস্য দেড় লাখ এবং বাকি অংশে র্যাব, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও জানান, সাধারণত নির্বাচনের আগে পাঁচ দিনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়; তবে এবার আট দিনের জন্য মোতায়েনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি কমিশন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধের এই সিদ্ধান্ত মূলত ভোটকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা এবং ভোটের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতেই নেওয়া হয়েছে।









