জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানকালীন ঘটনায় ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাকাণ্ড পরিচালনায় সহায়তার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে পলক, আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) তদন্ত সংস্থা সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনায়েদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র প্রসিকিউশনে দাখিল করে।
প্রসিকিউশনের অভিযোগ, আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে সংগঠিতভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটনে সহায়তা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় সজীব ওয়াজেদ জয়, সে সময়ের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, আন্দোলন তিন সপ্তাহ অতিক্রান্ত হলে বিভিন্ন সময়ে হঠাৎ করে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এছাড়া ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ ছিল টানা ১৩ দিন, যা স্বাভাবিক হয় ৫ আগস্ট দুপুরে।
এদিকে আরেক মামলায় আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতি চলছে। আন্দোলন দমনে কারফিউ জারির পরামর্শ দেওয়া ও পরবর্তী হত্যাকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করছে প্রসিকিউশন।
সবকিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার অথবা আগামী সপ্তাহের শুরুতেই জয়-পলক এবং আনিসুল-সালমানের বিরুদ্ধে দুই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবে প্রসিকিউশন।









