রেকর্ড গড়া জয়ে সিরিজে ১–১ সমতায় ফিরল বাংলাদেশ। শেষ ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন শেখ মেহেদী হাসান। ৩ বলে ৬ রানের ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে তিনি দলের শেষ হাসি নিশ্চিত করেন।
তবে জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ইনিংসের শেষ দিকে মাত্র ৭ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৭ রানের ঝড় তুলে দলকে একেবারে জয়ের দুয়ারে পৌঁছে দেন তিনি। তার এই ধাক্কায় চাপের মুখে থাকা বাংলাদেশ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আবার নিজেদের দিকে টেনে নেয়।
এই ম্যাচে দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের নতুন রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা। ১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় পাওয়া বাংলাদেশের নতুন উচ্চতা—এর আগে ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় এসেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, গত বছর। এবার লিটন দাসের নেতৃত্বে সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল দল।
১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন লিটন দাস—৩৭ বলে তিন চার ও তিন ছক্কায় ৫৭ রান। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন করেন ৪৩ রান। ৩৪তম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে নিজের ১৬তম ফিফটি পূর্ণ করেন লিটন দাস।
এর আগে পারভেজ ইমন খেলেন ২৮ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রানের দারুণ ইনিংস। দলীয় ২৬ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। এরপর লিটনকে সঙ্গে নিয়ে ৪৩ বলে ৬০ রানের জুটি গড়ে দলের ভিত্তি শক্ত করেন পারভেজ।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৭০ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তারা করে ৭৫ রান—যা রীতিমতো তাণ্ডবই বলা যায়।
টিম টেক্টর ২৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৩৮ রান, পল স্টার্লিং ১৪ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় যোগ করেন ২৯ রান। সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে লরকান টাকারের ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে সবচেয়ে উজ্জ্বল শেখ মেহেদী হাসান। ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন ও তানজিম হাসান সাকিব।
শেষ পর্যন্ত দারুণ জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ, আর তৃতীয় ম্যাচ এখন রূপ নিয়েছে অঘোষিত ফাইনালে।









