রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে : আসিফ নজরুল

ষ্টাফ রিপোর্টার

জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই মামলায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায়ের প্রতি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথ আরও সুদৃঢ় হলো। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় দায়ের হওয়া প্রথম মামলার রায় এটি। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পড়া শুরু করেন বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্রাইব্যুনাল–১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন প্যানেলের অপর সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালতকক্ষ ছিল জনাকীর্ণ। আইনজীবীদের পাশাপাশি জুলাই-আগস্টের ঘটনায় নিহতদের কয়েকজনের স্বজনও উপস্থিত ছিলেন।

রায়ে ট্রাইব্যুনাল জানায়, শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল। আর রাজসাক্ষী হিসেবে সহযোগিতা করায় সাবেক আইজিপি মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড।

মামলায় পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছিল—
১) উসকানিমূলক ভাষণ প্রদান
২) প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নির্দেশ
৩) রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা
৪) রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা
৫) আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা

ট্রাইব্যুনাল বলেছে, সব অভিযোগই রাষ্ট্রপক্ষ সফলভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসরন করুন

সর্বশেষ খবর