ভালোবাসার মানুষটির পাশে ঘুমোন, মন-শরীর দুই ফিট থাকবে

ব্যস্ততা, কাজের চাপে সঙ্গীর সঙ্গীকে দিনভর সময় দিতে পারেন না অনেকেই। জানেন কি সব কাজ মিটিয়ে রাতে যদি সঙ্গীকে জড়িয়ে ঘুমোতে পারেন, তা হলে সমস্ত ক্লান্তি ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে। তেমনটাই জানাচ্ছে গবেষণা। রাতে প্রিয়জনের পাশে ঘুমোলে শুধু যে নিশ্চিন্ত ঘুমোতে পারবেন তাই নয়, সার্বিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হবে এতে। রাতে সঙ্গীর পাশে ঘুমালে অক্সিটোসিন, সেরোটোনিন, ভ্যাসোপ্রেসিন, প্রোল্যাকটিন ইত্যাদি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোনগুলি মানসিক অবসাদ দূর করার পাশাপাশি আপনাকে খুশি করতেও দারুণ কার্যকর। তাই স্বাভাবিক কারণেই ঘুম ভাল হয়। আর কী কী উপকার পাওয়া যায়?

প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে

প্রিয়জনের পাশে ঘুমোলে মানসিক চাপ কমে যায়। উদ্বেগ, চিন্তার কারণে শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। কিন্তু সঙ্গীর কাছে ঘুমোলে চিন্তাভাবনা অনেকটাই কমে যায়। ঘুম শান্তির এবং গভীর হয়। কর্টিসলের পরিমাণ কমে গেলে ইনফ্লেমেশনও দূরে চলে যায়। ফলে শারীরিক এবং মানসিক অস্বস্তি নিয়ন্ত্রণে থাকে।

প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে পাওয়া মানেই ভালো হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায় শরীরে। ভালো হরমোন শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার শক্তিশালী করে তোলে। ফলে কোনও রোগবালাই ছুঁতেও পারে না। শক্তিশালী সংক্রমণও সহজে কাবু করতে পারে না।

আরইএম স্লিপিং

রাপিড আই মুভমেন্ট বা আরইএম স্লিপিংয়ের কারণে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা সচল থাকে। স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। সৃজনশীল কাজ করা এবং নতুন কিছু শেখার আগ্রহ তৈরি হয়। বেশ কিছু গবেষণা দেখা গিয়েছে, ভালোবাসার মানুষের পাশে ঘুমোলে আরইএম স্লিপিং ভালো হয়।

তারুণ্য বজায় থাকে

ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঘুমোলে শরীর এবং মনে পজিটিভ প্রভাব পড়ে। এই ইতিবাচক মানসিকতার ছাপ পড়ে শরীরেও। ফলে ত্বক ঝলমলে হয়ে ওঠে। সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না শরীরে। অ্যান্টি-এজিং প্রক্রিয়াও দ্রুত কার্যকরী হয়ে ওঠে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসরন করুন

সর্বশেষ খবর