রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন। পালাম বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাতেই দুই নেতার মধ্যে নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হবে, আর শুক্রবার হবে তাদের দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক।
শুক্রবারের বৈঠকের আগে রাষ্ট্রপতি ভবনে পুতিনকে দেওয়া হবে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা। এরপর তিনি দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন এবং সফরকালীন সেখানেই অবস্থান করবেন।
২০২১ সালের পর এটাই পুতিনের প্রথম ভারত সফর। এর আগে গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মস্কো গিয়ে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি দুই দেশের জন্যই চ্যালেঞ্জের—পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা চাপের মুখে, আর ভারত সাম্প্রতিক পাকিস্তান-সংঘাত, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার চাপ সামলাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এসব প্রেক্ষাপটে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতেই পুতিনের এই দিল্লি সফর।
এনডিটিভি ও দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে পুতিন রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন। দিনব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে নয়াদিল্লিতে রাশিয়ার গণমাধ্যম ‘আরটি ইন্ডিয়া’-র উদ্বোধন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজে অংশগ্রহণ।
শুক্রবার রাত প্রায় ৯টার দিকে পুতিনের ভারত ত্যাগ করার কথা রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটাই তার প্রথম ভারত সফর। স্বাস্থ্য, বাণিজ্যসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, উভয় দেশই বিকল্প পেমেন্ট ব্যবস্থা তৈরির উপায় খুঁজছে এবং পারস্পরিক বাণিজ্য সম্প্রসারণেও আগ্রহী। ক্ষুদ্র মডুলার পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরও ভবিষ্যৎ সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পুতিনের এ সফর দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন গতি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিক্রিয়া সামলে এগোতে হবে ভারতকে।









