সিলেটের বিভিন্ন সমস্যা, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে মতামত জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “সিলেট মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এখানকার নানা সমস্যা চিহ্নিত করব এবং সেগুলোর সমাধানের পথ খুঁজব।”
তিনি আরও বলেন, “ইনশাআল্লাহ, জনগণ যদি আমাদের দায়িত্ব দেন, তাহলে সিলেটের সার্বিক উন্নয়নে বিএনপি সর্বাধিক প্রচেষ্টা চালাবে।”
দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত খবর সম্পর্কে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। এখনও কোনো মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়নি। সময়মতো সবাই জানতে পারবেন।”
এর আগে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিজেকে গুম করার ঘটনায় তামাবিল সীমান্ত এলাকায় একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণে অংশ নিতে দুপুরে সিলেটে আসেন।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমি জানতাম, আমাকে হয়তো ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে বা হত্যা করা হবে। চোখ ও হাত বাঁধা অবস্থায় সম্ভবত এই পথ দিয়েই আমাকে সীমান্ত পার করে ভারতের শিলংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জয়পুরে পৌঁছানোর আগে চোখ খুলে দিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “পথচারী ও স্থানীয়দের সহায়তায় আমি পুলিশের কাছে যাই। পরে তারা আমাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠায়। তখন মনে হয়েছিল, হয়তো বাকি জীবন এখানেই কাটাতে হবে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আজ বেঁচে আছি।”
শনিবার বিকেলে সালাহউদ্দিন আহমদ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল ইমিগ্রেশন এলাকা ও নলজুরী খাসিয়া হাওর পরিদর্শন করেন এবং ২০১৫ সালের ১০ মে সন্ধ্যায় সেই পথেই তাকে ভারতের শিলংয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন।









