বড় জয়ে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

৬ উইকেটে ১৭৬ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। ধারণা ছিল, প্রথম সেশনেই ম্যাচ শেষ করে দেবে বাংলাদেশ। কিন্তু আইরিশদের নীচের সারির ব্যাটাররা দৃঢ়ভাবে লড়ে সেই পথ সহজ হতে দেননি। শেষ চার উইকেট তুলতে বাংলাদেশের লেগেছে প্রায় ৬০ ওভার। তবু শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকরা দ্বিতীয় টেস্টে ২১৭ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে এবং সিরিজে হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করেছে।

লোয়ার-অর্ডারের লড়াই সত্ত্বেও আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ রানে। চতুর্থ ইনিংসে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়েও ব্যবধান কমাতে পারেনি তারা। কার্টিস ক্যাম্ফার ৭১ রানে অপরাজিত থেকে মিরপুরে চতুর্থ ইনিংসে সর্বাধিক বল মোকাবেলার নতুন রেকর্ড গড়েন। বাংলাদেশের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন দুই বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও হাসান মুরাদ। মুশফিকের শততম টেস্ট জয় দিয়ে স্মরণীয়ভাবে শেষ হয় ম্যাচ।

এর আগে চতুর্থ দিনে ৬ উইকেট হারানোর পরও আয়ারল্যান্ড ম্যাচটি পঞ্চম দিনে টেনে নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১৭৬। জয়ের জন্য তখনো প্রয়োজন ছিল আরও ৩৩৩ রান। ক্রিজে ছিলেন ক্যাম্ফার ৩৪ এবং ম্যাকব্রাইন ১১ রানে।

বাংলাদেশ চতুর্থ দিনের শুরু করে ১ উইকেটে ১৫৬ রান নিয়ে। সাদমান ইসলাম ৭৮ রান করে ফিরে গেলে মুমিনুল হকের সঙ্গে ব্যাট করতে নামেন শান্ত, যদিও ব্যাট হাতে আবারও ব্যর্থ হন তিনি। দলীয় ২৯৭ রানে মুমিনুল ১১৮ বলে ৮৭ রান করে আউট হন। তখন ৮১ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক, যিনি নিজের শততম টেস্টকে রানে ভরিয়ে স্মরণীয় করে তুলেছেন। মুমিনুল আউট হতেই অধিনায়ক শান্ত ইনিংস ঘোষণা করেন। লিড দাঁড়ায় ৫০৮ রান।

৫০৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। পল স্টার্লিং ৯, অ্যান্ডি বালবার্নি ১৩ এবং কেড কারমাইকেল ১৯ রান করে আউট হন। হ্যারি টেক্টর লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও ৮০ বলে ৫০ রানে থামেন। লরকান টাকার আউট হন ৭ রানে, স্টিনে দোহেনি ১৫ রানে।

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস ছিল ৪৭৬ রানের শক্তিশালী সংগ্রহ। জবাবে আয়ারল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করতে পেরেছিল ২৬৫ রান।


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসরন করুন

সর্বশেষ খবর