২০২৫ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিজ্ঞানী— জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ. দেবোরে এবং জন এম. মার্টিনিস।
কোয়ান্টাম মেকানিক্সে যুগান্তকারী গবেষণা ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ বছরের সর্বোচ্চ বৈজ্ঞানিক সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
সুইডিশ উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছানুযায়ী ১৯০১ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বৈজ্ঞানিক স্বীকৃতিগুলোর একটি হলো নোবেল পুরস্কার।
নোবেল কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “১৯৮০-এর দশকে এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণা কোয়ান্টাম স্তরে পদার্থের আচরণ বুঝতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। তাদের উদ্ভাবন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও মেশিন লার্নিংয়ের নিউরাল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
নোবেলজয়ীরা পাবেন একটি নোবেল মেডেল, একটি সনদপত্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা)। একাধিক পুরস্কারপ্রাপ্ত হলে অর্থের পরিমাণ সমানভাবে ভাগ করা হয়।
নোবেল ইতিহাসে ১৯০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১১৮ বার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ২২৭ জন বিজ্ঞানী এ পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে মাত্র পাঁচজন নারী। প্রথম নারী নোবেলজয়ী ছিলেন মারি কুরি, যিনি ১৯০৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে পুরস্কার পান।
নোবেল সপ্তাহে পর্যায়ক্রমে রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
সব বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে আগামী ডিসেম্বরে সুইডেনে অনুষ্ঠিত আনুষ্ঠানিক নোবেল প্রদান অনুষ্ঠানে।









