বিদেশ থেকে এসেছে ছোট ভাইয়ের লাশ। সেই লাশ আনতে বিমান বন্দরে গিয়েছিলেন বড় ভাই। তবে তার আর ফেরা হয়নি। মরদেহ নিয়ে বিমানবন্দর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে নেওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে দুজনের।
আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাব উদ্দিন এ কথা জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভুজপুরের তালুকদারপাড়ার বাবুল মিয়া (৩০) ও তাঁর মামাতো ভাই ওসমান গণি (৩২)।
নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয় তাজুল ইসলাম জানান, গত বছরের ২৭ জুলাই সৌদি আরবে একটি ফাস্ট ফুডের দোকানের মালিকের নির্যাতনে মারা যান বাবুল মিয়ার ভাই মোহাম্মদ রুবেল (২৫)। দীর্ঘ চেষ্টার পর আজ সকালে একটি ফ্লাইটে রুবেলের লাশ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। বড় ভাই বাবুল মিয়া রুবেলের লাশ গ্রহণ করার জন্য ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। সব প্রক্রিয়া শেষে ভাইয়ের লাশ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন বাবুল মিয়া ও তাঁর মামাতো ভাই ওসমান গণি।
বিকেল সাড়ে ৫টায় বাতিসা নামক স্থানে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি একটি লরির পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওসমান গণি নিহত হন। গুরুতর আহত বাবুল মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে মরদেহ নিয়ে আসা হয় মিয়া বাজার হাইওয়ে থানায়।
মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার ওসি মো.শাহাব উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্সের চালক পালিয়ে গেছেন। পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত অ্যাম্বুলেন্সেটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তিনি জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।