গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫–এর খসড়া নীতিমালা অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যেই ‘গণভোট আইন’ প্রণয়ন করা হবে। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণানুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে ১৩ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই দিনে গণভোটও আয়োজন করা হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন। তার ভাষ্যমতে, নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করলে সংস্কারকাজ বাধাগ্রস্ত হবে না; বরং নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে।
‘জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নে’ বলা হয়েছে— ভোটাররা নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি সম্মতি বা অসম্মতি জানাতে পারবেন—
ক. নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে উল্লেখিত প্রক্রিয়ায় গঠিত হবে।
খ. আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্যের একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধনে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
গ. জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মত ৩০টি সংস্কার— যেমন নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকারের শক্তিশালীকরণ— বিজয়ী দলগুলোর জন্য বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক হবে।
ঘ. সনদে উল্লেখিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হবে।
গণভোটের দিনে এই চারটি বিষয়ের ওপর একটি মাত্র প্রশ্নে ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট প্রদান করবেন।









