রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ডের সামনে সামনে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) হত্যার ঘটনায় আরও একজন এজাহারনামীয় আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার সকালে এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত আসামির নাম মো. টিটন গাজী। কোতয়ালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, এ ঘটনায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। বাকি দু’জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া বাকি দু’জন হলেন- মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিন (২২)। গ্রেফতার তারেকের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর প্রকাশ্যে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পাথর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
হত্যার কারণ সম্পর্কে ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং পূর্বশত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে ও বাকি জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত : র্যাব
ব্যবসায়ী সোহাগকে ইট, কংক্রিট ও পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার মামলায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আজ শনিবার কারওয়ান বাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান।
তিনি বলেন, মিটফোর্ড এলাকার এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। এ মামলার ছায়া তদন্ত চলছে। এখনও বিস্তারিত কিছু বলার সময় আসেনি, তবে বাকি জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় চাঁদাবাজি কিংবা ব্যবসায়িক বিরোধ থেকে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে এটা প্রাথমিক পর্যায়ের ধারণা।
র্যাব প্রধান দৃঢ়ভাবে বলেন, আমাদের কাছে অপরাধীর পরিচয় শুধু অপরাধী। সে যেই দলের হোক, যত বড় প্রভাবশালী হোক, কোনো ছাড় নেই। আমরা অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই গুছিয়ে এনেছি। আমাদের নিয়মিত টহল, গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযানে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। আশা করছি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে একটি সহিংসতামুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবো।