পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র সতর্কবাণী দিয়েছেন—যাতে পারমাণবিক পরিবেশ ও ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তাঁর বক্তব্য ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার পিএমএ (পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি) ক্যাম্পাসে দেয়া ভাষণে মুনির বলেন, পারমাণবিক পরিমণ্ডলে যুদ্ধে জড়ানোর স্থান নেই; তবু সামান্যprovocation-এও পাকিস্তান থেকে ‘জবাব’ আসবে এবং প্রয়োজনে তা অনুপাতভঙ্গী প্রতিক্রিয়া ডেকে আনতে পারে। তিনি আরও বলেন, “যদি নতুন করে শত্রুতার ঢেউ ওঠে, তাহলে পাকিস্তান প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি প্রতিক্রিয়া দিতে সক্ষম” এবং দেশের অস্ত্রসজ্জা ও যুদ্ধসামর্থ্য ভারতের ভৌগোলিক বিশালতার প্রথাগত ধারণাকে ব্যর্থ করে দিতে পারে—এরকম ইঙ্গিতমূলক মন্তব্য করেন।
সেনাপ্রধান মুনির সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে উত্তেজনা বাড়লে এর দায়ভার সরাসরি ভারতের উপর পড়ে যাবে এবং তা সমগ্র আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক প্রভাব ফেলতে পারে।
এই মন্তব্যগুলো আসে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যভাগে—নভেম্বরের আগে কড়াভাবে একে অপরকে সতর্ক করে দেওয়া বক্তব্যের পাল্টা পাল্টি সংস্করণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও সীমান্তে দুঃসাহসী আচরণ হলে কড়া জবাব দেবেন বলে মন্তব্য করেছিলেন; এর উত্তরে পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ কয়েকজন সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাও কড়া ভাষ্য দিয়েছেন।
কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করান, উভয়পক্ষের তিক্ত বিবৃতি ও হুঁশিয়ারি অঞ্চলে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এবং সংলাপ ও প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক চ্যানেল মাধ্যমে চাপ কমানো জরুরি।









