পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনার জামিউল আলমের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। একইসঙ্গে তারা কুয়াকাটার সব আবাসিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সামনে “পর্যটন সংশ্লিষ্ট ১৬ পেশার ব্যবসায়িক সংগঠন”-এর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ মোতালেব শরীফ জানান, আগামী সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট বন্ধ রাখা হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, কুয়াকাটা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মাওলানা মাইনুল ইসলাম মান্নানসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ৮ অক্টোবর ভ্যাট কর্মকর্তা জামিউল আলম কুয়াকাটার এক হোটেলে গিয়ে ভ্যাটসংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার সময় হোটেল ম্যানেজারের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। ওই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
ফুটেজে দেখা যায়, জামিউল আলমের উপস্থিতিতে রাজস্ব কর্মকর্তাসহ কয়েকজন হোটেল ম্যানেজার রাজিবের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও তার হাত থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
হোটেল ম্যানেজার রাজিব বলেন, “আমি আমার মালিককে বিষয়টি জানাতে গেলে তারা আমার হাত থেকে ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং হোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে লক্ষ্য করে গালাগাল করেন। সরকারি কর্মকর্তার এমন আচরণে আমি হতবাক।”
ব্যবসায়ীরা বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য এবং এটি পর্যটন শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। তারা জামিউল আলমকে দ্রুত কুয়াকাটা থেকে অপসারণের দাবি জানান। দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
অভিযোগের বিষয়ে সহকারী কমিশনার জামিউল আলম বলেন, “ঘটনাটি তদন্তাধীন থাকায় এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।”
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন বিসিএস কর্মকর্তার আচরণ অবশ্যই নমনীয় হওয়া উচিত। আমি কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনকে দ্রুত তদন্ত ও সমাধানের নির্দেশ দিয়েছি।”









